Abu Bakar Siddique

প্রথমবার ভারত ভ্রমণের আদ্যোপান্ত – প্রথম পর্ব

বিদেশ ভ্রমণ

সম্প্রতি আমি ইন্ডিয়া ট্যুরে গিয়েছিলাম। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেসবের পোস্ট দেখে অনেকেই ইনবক্সে জানতে চেয়েছেন কেমন কী খরচ হলো। সবাইকে আসলে বিস্তারিত বলার সুযোগ হয়ে ওঠেনি। তাই দেশে এসে ঠিক করলাম এক বা একাধিক ব্লগে একেবারে বিস্তারিত সবকিছু তুলে ধরবো। কোথায় কী খরচ হলো, কেমন কী প্রসেস, কেমন হোটেলে ছিলাম—ইত্যাদি। মোট তিনটা ব্লগে আমি পুরো ট্রিপের বিস্তারিত তুলে ধরেছি। ব্লগ তিনটা ভালোভাবে পড়লে আশাকরি আপনাদের অনেক প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।

***

আমরা ৪ বন্ধু মিলে বের হয়েছিলাম গত নভেম্বরের ৩ তারিখে। সেই রাতে বেনাপোল এক্সপ্রেসে চেপে আমরা রওনা দেই বেনাপোলের উদ্দেশ্যে। চার তারিখ সকালে ট্রেন আমাদেরকে বেনাপোল নামিয়ে দেয়। সেখান থেকে আমরা একটা ভ্যানে করে সোজা চলে যাই বর্ডারে। ইমিগ্রেশনের কাজ শেষ করে আমরা লাইনে দাঁড়িয়ে যাই। বেশ লম্বা লাইন। সেটা পেরিয়ে ভারতের ইমিগ্রেশনে পৌঁছুতে বেশ অনেকক্ষণ সময় লাগলো। আনুমানিক ঘন্টা দেড়েক তো হবেই। তারপর ইমিগ্রেশন পেরিয়ে পা রাখলাম ভারতের মাটিতে।

খরচ :

১. ঢাকা থেকে বেনাপোল = ৫০০৳

২. বেনাপোল স্টেশন থেকে বর্ডার = ২০৳

৩. ট্রাভেল ট্যাক্স = ১০০০৳

৪. পোর্ট ফি = ৫০৳

• মোট = ১৫৭০৳

১ম দিন

ভারতের মাটিতে পা রেখে প্রথমেই আমরা টাকা ভাঙিয়ে নিলাম। আমাদের দুর্ভাগ্য বলতে হবে, আমরা রেট পেয়েছিলাম মাত্র ৭২ রুপি। মানে বাংলাদেশের ১০০ টাকার বিনিময়ে ভারতের ৭২ রুপি। এতোটা কম রেট পাবো আশা করিনি। অগত্যা ২ হাজার টাকা ভাঙালাম আপাতত চলার জন্য।

টাকা ভাঙিয়ে আমরা উঠে পড়লাম লোকাল সিএনজিতে। জনপ্রতি ৫০ রুপির বিনিময়ে তারা আমাদেরকে পৌঁছে দিলো বনগাঁ স্টেশনে। সেখানে নেমে সকালের নাস্তাটা সেরে নিলাম। তারপর স্টেশনে ঢুকে বনগাঁ লোকালের টিকেট কেটে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম। কিছুক্ষণের মধ্যেই ট্রেন চলে এলো। ট্রেনে উঠে দ্রুত আমরা আমাদের জন্য সিট ধরে ফেলি। কারণ লোকাল ট্রেনে নির্দিষ্ট কোনো সিট থাকে না, সেটা কে না জানে? তাই ঝটপট নিজেদের জন্য সিট ধরে আমরা ট্রেন ছাড়ার অপেক্ষায় রইলাম।

একেবারে নির্ধারিত সময়েই ট্রেন ছাড়লো। দুপুর তিনটা নাগাদ আমরা পৌঁছে গেলাম শিয়ালদহ স্টেশনে। স্টেশন থেকে বেরিয়ে একটা হলুদ ট্যাক্সি ভাড়া করে চলে গেলাম মারকুইস স্ট্রিটে। সেখানে একটা হোটেলে চেক-ইন করলাম। ভাগ্য এখানেও আমাদের সহায় ছিলো না। পরেরদিন কলকাতার ইডেন গার্ডেনে ছিলো ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচ। এবারের বিশ্বকাপে তুমুল ফর্মে থাকা দুটো দলের ম্যাচ মানেই তো জমজমাট ব্যাপার। তার উপর সেদিন আবার বিরাট কোহলির জন্মদিন। সবমিলিয়ে কলকাতায় একটা উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছিলো। তারই পরিপ্রেক্ষিতে একটু চড়া দামেই হোটেল বুকিং করতে হয়েছিলো আমাদের।

হোটেলে চেক-ইন পর্ব শেষে আমরা সবাই ফ্রেশ হয়ে নিলাম। ততক্ষণে দুপুর গড়িয়ে বিকেল। আমরা হোটেল থেকে বেরিয়ে মারকুইস স্ট্রিটে টাকা ভাঙানোর জন্য ঘোরাঘুরি করলাম কিছুক্ষণ। কিন্তু ওইযে, ভাগ্য খারাপ ছিলো। শেষমেশ আমরা টাকা ভাঙালাম ৭১.৮০ রেটে। এছাড়া আর উপায়ও ছিলো না। এটাই ছিলো সেদিনের সর্বোচ্চ রেট। যাকগে, টাকা ভাঙানোর পাঠ চুকিয়ে আমরা ঢুকে পড়ি একটা মুসলিম হোটেলে। মেনু দেখে ভাত, আলুগোস্তো এবং কালাভুনা অর্ডার করি। খাবারগুলোও বেশ সুস্বাদু ছিলো। পেটভরে খেয়েদেয়ে আমরা কলকাতা ভ্রমণে বেরিয়ে পড়ি।

শুরুতেই আমরা গেলাম নিউমার্কেট। সেখানে ঘোরাঘুরি করে চলে গেলাম জাকারিয়া স্ট্রিটে। প্রথমে ভেবেছিলাম কাছেই, তাই পায়ে হেঁটেই যাচ্ছিলাম। কিন্তু দূরত্বটা কম ছিলো না। ভালোরকমের দূরই ছিলো বলা চলে। তার উপর আমরা রাস্তাও চিনতাম না। তাই হেঁটে যেতে অনেকটা বেগ পোহাতে হয়েছিলো।

যাহোক, জাকারিয়া স্ট্রিটে পৌঁছে আমরা সেখানকার কিছু খাবার চেখে দেখলাম। খাওয়াদাওয়া শেষে আবার ফেরার পথ ধরলাম। এবার আর হেঁটে যাওয়ার মতো ভুল করা যাবে না। তাই মানুষজনকে জিগ্যেস করে ধর্মতলার বাসে উঠে পড়লাম।

ধর্মতলায় নেমে দূরে ফ্লাডলাইট দেখে খানিকটা চমকে উঠলাম। মনে মনে বললাম, ওটা ইডেন গার্ডেন নয় তো? কৌতুহলের বশে আমরা সেদিকে পা বাড়ালাম। কাছাকাছি যেতেই আমাদের সন্দেহ দূর হলো। এটা সেই বিখ্যাত ইডেন গার্ডেনই। আমরা খানিকটা সময় সেখানে ঘোরাঘুরি করে, আড্ডা দিয়ে তারপর হোটেলের পথ ধরলাম।

খরচ :

১. বর্ডার থেকে বনগাঁ স্টেশন = ৫০₹

২. সকালের নাস্তা = ৪০₹

৩. বনগাঁ থেকে শিয়ালদহ = ২০₹

৪. শিয়ালদহ থেকে মারকুইস স্ট্রিট = ৭৫₹

৫. হোটেল ভাড়া = ৪২৫₹

৬. দুপুরের খাবার = ৭৫₹

৭. জাকারিয়া স্ট্রিটে খাওয়াদাওয়া = ১৫০₹

৮. জাকারিয়া স্ট্রিট থেকে ধর্মতলা = ১০₹

• মোট = ৮৪৫₹ (১,১৭৫৳)

২য় দিন

আমাদের ভারত ভ্রমণের দ্বিতীয় দিনটি শুরু হলো ইয়া বড় পায়া (নেহারি) আর চাপাতি রুটির সাথে। সাথে ছিলো গরুর লাল ভুনা। ভরপেট খেয়ে আমরা হোটেল পরিবর্তন করলাম। মির্জা গালিব স্ট্রিটে একটা হোটেল পেয়ে গেলাম তুলনামূলক কমদামে। নতুন হোটেলে ব্যাগপত্র রেখে আমরা বেরিয়ে পড়লাম দিনের আলোয় কলকাতার সৌন্দর্য উপভোগ করতে।

শুরুতেই আমরা গেলাম ইন্ডিয়ান মিউজিয়ামে। টিকেট কাটতে গিয়ে পড়লাম বিড়ম্বনায়। ভারতীয়দের জন্য টিকেট মূল্য মাত্র ৭০₹। সেখানে আমাদের জন্য (ফরেনারদের) টিকেট মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০০₹। এমন আকাশপাতাল পার্থক্য হবে সেটা আশা করিনি। তাছাড়া ৫০০₹ দিয়ে মিউজিয়ামে ঢুকে দেখার মতো তেমন কিছু আছে বলে মনেও হচ্ছিলো না। তাই শেষমেশ মিউজিয়ামটাকে স্কিপ করলাম।

সেখান থেকে আমরা চলে আসলাম ধর্মতলায়। আমাদের এবারের গন্তব্য সল্টলেক ইকোপার্ক। আমরা বাসে উঠে চলে গেলাম বিশ্ব-বাংলা গেটে। সেখান থেকে আরেকটা বাসে চেপে চলে গেলাম ইকোপার্কের ২ নম্বর গেটে।

ইকোপার্কে ঢুকতেও টিকেট লাগবে। তবে মিউজিয়ামের মতো এখানে কোনো ভেদাভেদ নেই। সবার জন্য টিকেট মূল্য একই। আমরা টিকেট কেটে ঢুকে পড়লাম ইকোপার্কে। খুব চমৎকার একটা পার্ক। বিশাল জায়গাজুড়ে অবস্থিত এই পার্কটা ভালোভাবে ঘুরে দেখতে হলে পুরো একটা দিন লেগে যাবে। ভেতরে ছবি তোলার মতো অনেক সুন্দর জায়গা আছে। পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসার মতো একটা জায়গা।

তবে আমরা খুব বেশি সময় নিলাম না। ৩/৪ ঘন্টার মধ্যে যতটুকু সম্ভব ঘুরে দেখি। তারপর সেখান থেকে বেরিয়ে আবার চলে আসি নিউমার্কেটে। ততক্ষণে সন্ধ্যা হয়ে গেছে। এদিকে দুপুরের খাবারটাও এখনো খাওয়া হয়নি। তাই একটা মুসলিম হোটেল দেখে ঝটপট ঢুকে পড়ি।

হাতমুখ ধুয়ে খাবার অর্ডার দিলাম। বেশিকিছু ছিলো না। সন্ধ্যার সময়, না থাকারই কথা। আমরা বিফ বিরিয়ানি অর্ডার দিলাম। বিরিয়ানি মুখে দেওয়ার আগ পর্যন্ত সব ঠিকঠাক ছিলো। মানে দেখতে বেশ ভালোই লাগছিলো। কিন্তু মুখে দিয়েই তো মজাটা টের পেলাম। এতো ড্রাই বিরিয়ানি মানুষ কিভাবে খায়? পাক্কা ৩ বোতল কোকের সাহায্যে এক প্লেট বিরিয়ানি গিলতে সক্ষম হলাম। করার কিছুই ছিলো না। পেটে ক্ষুধা ছিলো বলে সাবাড় করতে পেরেছি। নাহলে কোনোভাবেই সম্ভব ছিলো না।

খাওয়াদাওয়া সেড়ে কিছু সময়ের জন্য হোটেলে গেলাম। হাতমুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে আবার বেরিয়ে পড়লাম। এবারের গন্তব্য ইডেন গার্ডেন। ম্যাচের কী অবস্থা তখনও জানি না। কারও ফোনে নেট ছিলো না বিধায় স্কোর দেখারও সুযোগ ছিলো না। স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখার ইচ্ছে ছিলো যদিও। কিন্তু টিকেটইও পাওয়া যায়নি। তাই ঠিক করেছিলাম, খেলা শেষে দর্শকদের উত্তেজনা দেখতে যাবো সেখানে।

স্টেডিয়ামের কাছাকাছি আসতেই চমকে উঠলাম আতশবাজির শব্দে। মানে কী? ভারত কি তাহলে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে দিলো? কিন্তু এতো তাড়াতাড়ি কিভাবে? মনের মধ্যে হাজারো প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছিলো। খানিকটা দ্রুত পা চালাতে লাগলাম।

যা ভেবেছিলাম তাই। ভারত দক্ষিণ আফ্রিকাকে বিরাট ব্যবধানে হারিয়ে দিয়েছে। বার্থডে বয় বিরাট কোহলিও দারুণ খেলেছে। সেঞ্চুরিও হাঁকিয়েছে। সবমিলিয়ে সেই একটা ব্যাপার-স্যাপার। ভারতীয় ভক্তদের উল্লাস-উচ্ছাসে পুরো ইডেন গার্ডেন এরিয়া ছিলো মুখরিত। আমরা সেখানে প্রায় অনেকটা সময় কাটিয়ে আবার হোটেলে ফিরে আসি।

রাত এগারোটার দিকে আবার বাইরে বের হলাম। রাতের খাবার খেয়ে রাস্তায় খানিকটা সময় হাঁটাহাঁটি করলাম। তারপর একটা তন্দুরি চা খেয়ে চলে আসলাম হোটেলে।

খরচ :

১. সকালের নাস্তা = ৮৫₹

২. হোটেল ভাড়া = ৩৭৫₹

৩. ধর্মতলা থেকে ইকোপার্ক = ৪০₹

৪. ইকোপার্কের টিকেট = ৩০₹

৫. ইকোপার্ক থেকে ধর্মতলা = ৪০₹

৬. দুপুরের খাবার = ১৪৫₹

৭. রাতের খাবার = ১০০₹

• মোট = ৮১৫₹ (১,১৩৩৳)

৩য় দিন

শুরু হলো আমাদের ভারত ভ্রমণের তৃতীয় দিন। গতকাল সকালের সেই হোটেলেই গেলাম। চাপাতি রুটি আর গরুর লালভুনা দিয়ে সকালের নাস্তা সেরে নিলাম। তারপর একটা হলুদ ট্যাক্সি ভাড়া করে হাওড়া ব্রিজ দেখতে বেরুলাম। ড্রাইভারটাও মোটামুটি ভালো ছিলো। আমাদেরকে সে অনেককিছু ঘুরিয়ে দেখালো। তারপর বেলা এগারোটার সময় আমাদেরকে আবার হোটেলে নামিয়ে দিয়ে গেলো।

হোটেলে ঢুকে ব্যাগপত্র গুছিয়ে চেক-আউট করে ফেললাম। দুপুর দেড়টায় আমাদের জম্মুর ট্রেন। তাই কোনো রিস্ক নিতে চাচ্ছিলাম না। একটা ট্যাক্সি নিয়ে সোজা চলে গেলাম শিয়ালদহ স্টেশনে।

স্টেশনের ভেতর থেকেই কিছু শুকনো খাবার নিয়ে নিলাম। দাম খুব বেশি পড়েনি। সেগুলো নিয়ে ট্রেনে উঠে পড়লাম। আমাদের কম্পার্টমেন্টে ২ জন ভারতীয় ছিলেন। বাকি আমরা ৬ জন ছিলাম বাংলাদেশি। ট্রেনের জার্নিটা খুব সুন্দর ছিলো। আমরা সবাই একটা পরিবার হয়ে গিয়েছিলাম দু’দিনের জন্য।

রাতে ট্রেন থেকে খাবার নিয়েছিলাম। পুরো ফালতু ছিলো সেই খাবারটা। একে তো দাম বেশি, তার উপর খাবারও মজাদার ছিলো না। তাই আর পরে ট্রেন থেকে খাবার নেওয়ার সাহস পাইনি।

খরচ :

১. সকালের নাস্তা = ৭০₹

২. ট্যাক্সি ভাড়া = ৭৫₹

৩. হোটেল থেকে শিয়ালদহ স্টেশন = ৫০₹

৪. ট্রেনের টিকেট (শিয়ালদহ-জম্মু) = ২,৫৬৫₹

৫. ট্রেনে খাবার-দাবার = ১৫০₹

• মোট = ২,৯১০₹ (৪,০৪৫৳)

৪র্থ দিন

চতুর্থ দিন সকাল। চমৎকার একটা ঘুম দিয়ে উঠলাম। হাতমুখ ধুয়ে একটা দুধ-চা দিয়েই দিনটা শুরু করলাম। আজকে আর ট্রেনের খাবার নেওয়ার মতো ভুল করিনি। বাইরে থেকে শিঙাড়া কিনে এনে খেয়েছি। পুরো ট্রেন জার্নির মধ্যে একমাত্র শিঙাড়াটাই ছিলো খাওয়ার মতো।

রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ আমাদের ট্রেন জম্মু এসে পৌঁছায়। শুরুতে প্ল্যান ছিলো রাতটা স্টেশনের ওয়েটিং রুমেই কাটিয়ে দিবো। কিন্তু সেখানে বাথরুমের উৎকট গন্ধে থাকাটা সম্ভব হচ্ছিলো না। অগত্যা আমরা স্টেশন থেকে বের হয়ে গেলাম। স্টেশনের পাশেই একটা ট্যাক্সিস্ট্যান্ড দেখে সেখানে গেলাম কথা বলতে। তাদের ভাড়া শুনে চক্ষু চড়কগাছ। আস্তে করে সেখান থেকে সরে পড়লাম।

রাত বাজে কেবল সাড়ে বারোটা। পুরো রাতটা কোথায় থাকবো? পরে সবাই মিলে ঠিক করলাম, রাতটা একটা হোটেলে কাটিয়ে দিবো। তখন সিএনজি একটা নিয়ে চলে গেলাম জম্মু শহরে। সেখানে গিয়েও বিড়ম্বনার শিকার হলাম। সি-ফর্ম নাকি কী যেন একটা, ওটা ছাড়া কোনো ফরেনার এলাউ না। মানে যেসব হোটেলের কাছে সি-ফর্ম নেই তারা কোনো ফরেনারকে রুম ভাড়া দিতে পারবে না। পরে অনেকক্ষণ ঘোরাঘুরি করে শেষমেশ একটা হোটেল পেলাম। সেটা মোটামুটি ৩★ মানের হোটেল ছিলো। কিন্তু সমস্যা হলো, হোটেলের ভাড়া বেশি। আমরা বারবার বলছিলাম, খুব ভোরেই আমরা বের হয়ে যাবো। তবুও তারা মানছিলো না। পরে অনেক রিকোয়েস্ট করার পর তারা ভাড়া কম রাখলো। আমরা ব্যাগপত্র নিয়ে হোটেলে চেক-ইন করলাম।

খরচ :

১. ট্রেনে খাবার-দাবার = ১৫০₹

২. জম্মু স্টেশন থেকে হোটেল = ২৫₹

৩. হোটেল ভাড়া = ২৫০₹

• মোট = ৪২৫₹ (৫৯০৳)

লিখেছেন : 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আমার সম্পর্কে

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit.

গ্যালারি

আমাকে অনুসরণ করুন