আমি আবু বকর সিদ্দিক, একজন ট্রাভেলার এবং ফটোগ্রাফার। বাংলাদেশের নানান জায়গায় ভ্রমণ করেছি। পার্শ্ববর্তী দেশেও একাধিকবার গিয়েছি ভ্রমণের সুবাদে। আমি ভ্রমণ ও ফটোগ্রাফির মাধ্যমে প্রতিটি মুহূর্তকে গল্পে রূপান্তর করতে ভালোবাসি। ২০২২ সালে রুচি বিউটিগ্রামের সিজন ৫-এ আমার একটি ছবি ফাইনাল রাউন্ডে নির্বাচিত হয় এবং তা ধানমন্ডির বিখ্যাত ‘আলিয়স ফ্রঁসেস দ্য ঢাকা’র গ্যালারীতে তিনদিনব্যাপী প্রদর্শিত হয়। পাশাপাশি গ্রাফিক্স ডিজাইন, ফিচার লেখা, দৌড় এবং সাইক্লিংয়ের সাথেও আমার সম্পৃক্ততা আছে।
পৃথিবীর পথে পথে ঘুরে আমি আবিষ্কার করতে চাই সংস্কৃতির বৈচিত্র্য, প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য আর মানবতার অসীম সম্ভাবনা। ভ্রমণের প্রতিটি মুহূর্তকে আমি গল্প আর ফটোগ্রাফির ভাষায় জীবন্ত করে তুলতে চাই—যেন সেগুলো শুধু স্মৃতি নয়; বরং অনুপ্রেরণার এক অক্ষয় উৎস হয়ে ওঠে। আমার উদ্দেশ্য মানুষের মনে নতুন দিগন্ত উন্মোচনের স্বপ্ন জাগানো এবং এই সুন্দর পৃথিবীর প্রতি ভালোবাসা ছড়িয়ে দেওয়া।
দৌড়, সাইক্লিং, ভ্রমণ, এডভেঞ্চার এবং ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আমি শুধু নিজেকে নয়, অন্যদেরও অনুপ্রাণিত করতে চাই। প্রতিটি পদক্ষেপ, প্রতিটি গন্তব্য আর প্রতিটি অ্যাডভেঞ্চারের পেছনে আমার একটি লক্ষ্য—মানুষকে তাদের ভেতরে লুকিয়ে থাকা সাহস আর সম্ভাবনা খুঁজে বের করতে উৎসাহ দেওয়া। আমি চাই, তারা আমার অভিজ্ঞতা থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে নিজেদের জীবনে নতুন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করুক এবং সেই চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে ইতিবাচক পরিবর্তনের পথ তৈরি করুক।
এখানে আমি সাইক্লিং, দৌড়, লেখালেখি, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ফটোগ্রাফি এবং ভ্রমণসহ আমার বিভিন্ন ক্ষেত্রের কাজ ও অর্জন নিয়ে বিস্তারিত শেয়ার করেছি। প্রতিটি যাত্রা আমার জন্য নতুন অভিজ্ঞতা এবং সুযোগ এনে দিয়েছে, যা আমাকে ব্যক্তিগত এবং পেশাগতভাবে আরও সমৃদ্ধ করেছে।
ফটোগ্রাফি আমার জন্য শুধু একটি শিল্প নয়, বরং একটি অনুভূতির নাম। আমি নানান জায়গায় ভ্রমণ করার সময় মানুষের মনের অনুভূতি এবং পরিবেশের সৌন্দর্য ক্যামেরার মাধ্যমে ধরে রাখতে ভালোবাসি। আমি বিশ্বাস করি, প্রতিটি ছবি এক একটি গল্প—যা কখনও হারিয়ে যায় না। ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আমি মুহূর্তগুলোকে চিরকাল ধারণ করে রাখি এবং অন্যদের সাথে শেয়ার করি।
আমি বাংলাদেশ এবং ভারতের নানান জায়গায় ভ্রমণ করেছি। নতুন সংস্কৃতি, ইতিহাস এবং সৌন্দর্য আবিষ্কার করেছি। প্রতিটি যাত্রা আমাকে নতুন কিছু শিখতে এবং অনুভব করতে সাহায্য করেছে, যা আমার জীবনকে আরও সমৃদ্ধ করেছে। ভ্রমণ আমাদের মন ও হৃদয়কে খুলে দেয়, নতুন দৃষ্টিকোণ দেখার সুযোগ দেয়। প্রতিটি নতুন জায়গা ও শহর আমাকে নতুন অভিজ্ঞতা এবং চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন করেছে।
আমি এই পর্যন্ত একটিমাত্র সাইক্লিং প্রতিযোগিতায় (MTB Race) অংশগ্রহণ করেছি। তবে আমি সাইকেলে করে ভ্রমণ করতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। প্রতিটি যাত্রা আমার জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ এবং আনন্দের। সাইক্লিং আমাকে শারীরিক এবং মানসিকভাবে শক্তিশালী করেছে এবং আমি একে আমার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে দেখি। প্রতিটি সাইকেল রাইড এক একটি নতুন অ্যাডভেঞ্চার।
আমি ১২টির মতো দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছি। যার মধ্যে ছিল ৭.৫, ১০ এবং ১৫ কিলোমিটার। তিনটি হাফ ম্যারাথনও (২১.১ কিলোমিটার) দিয়েছি। প্রতিটি প্রতিযোগিতায় আমি চেষ্টা করি নিজেকে ছাড়িয়ে যেতে এবং নতুন রেকর্ড গড়তে। দৌড়ের মাধ্যমে আমি শিখেছি, শক্তি শুধুমাত্র শরীরেই নয়; মনেও থাকতে হয়। আমি যাত্রায় দৈনন্দিন নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা পেয়েছি।
আমি একাধিক নিউজ পোর্টালের সাথে ফিচার লেখক হিসেবে যুক্ত আছি, যেখানে প্রধানত খেলাধুলা এবং প্রযুক্তি নিয়ে লিখে থাকি। নিয়মিত বই পড়ার অভ্যাস আমার লেখালেখির প্রতি আগ্রহ বাড়িয়েছে এবং সেই আগ্রহ থেকেই আমি লেখালেখির চর্চা চালিয়ে যাচ্ছি। লেখালেখিকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করার লক্ষ্যেই আমার এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা।
গ্রাফিক্স ডিজাইনের সঙ্গে আমার সম্পর্ক দীর্ঘদিনের, যদিও এটি কখনোই পেশা হিসেবে গ্রহণ করিনি। অনেকটা শখের বশে বা প্রয়োজনের তাগিদেই মাঝেমধ্যে টুকটাক কাজ করি। টাইপোগ্রাফি, নামলিপি, ফটোকার্ড, লোগো এবং পোস্টার ডিজাইন করতে আমি সবচেয়ে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। প্রতিটি ডিজাইনে নিজস্ব সৃজনশীলতার ছোঁয়া রাখার চেষ্টা করি।